স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে চুরি তিনদিনের এক নবজাতক চুরি করে নিয়ে যায় তানিয়া (২৩) নামের এক নারী। পরে অভিযান চালিয়ে ঘটনার ৪ ঘন্টা পরই সেই নারীকে আটক করে পুলিশ৷ তানিয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের সিন্দুরা গ্রামের নিয়াজ আহাম্মদ লিটনের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাকে নবজাতক সহ আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাকে আটকের পর পুলিশ জানতে পারে তানিয়া নিজেও গর্ভবতী। থানায় আটক থাকাকালীন রাতে তানিয়ার প্রসবের লক্ষ্মণ দেখা দেয়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে পুলিশ নিয়ে গেলে রাত ১১টায় সিজারিয়ান অপারেশনে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। বিষয়টি নিয়ে শহর জুড়ে আলোচনা চলছে।পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের ফরিদ মিয়ার স্ত্রী রেখা আক্তার (২৭) গত তিনদিন আগে জেলা সদর হাসপাতালে একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে হাসপাতালে গাইনি ওয়ার্ডে এসে এক নারী এসে নিজেকে রেখা আক্তারের আত্মীয় দাবি করেন। এসময় রেখার পাশে থাকার তার দাদিকে ওই নারী ৫০০টাকা দিয়ে বলেন ফল আনতে। তিনি নবজাতক শিশুটিকে ডাক্তার দেখাতে হবে বলে তাকে কোলে নেন। সাথে রেখার ১১ বছরের এক বোনকে নিয়ে নবজাতকটিকে সাথে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সেই নারী প্রথমে স্বর্ণের একটি আংটি ১৫ হাজার টাকায় বিক্রয় করে রেখার বোনের কাছে দেন। সেখান থেকে প্রথমে কুমারশীল মোড় আমিন কমপ্লেক্সে এক শিশু চিকিৎসকের চেম্বারে যান, কিন্তু সিরিয়াল না পেয়ে আমার সন্ধানী হাসপাতালে আরেক শিশু চিকিৎসকের চেম্বারের যায়। ওই হাসপাতালে রেখার বোনটি টয়লেটে গেলে এই সুযোগে নবজাতকটিকে নিয়ে পালিয়ে যায় সেই নারী।তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে গিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখি। এরপর বিভিন্ন জায়গায় শিশুটিকে উদ্ধার করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরবর্তীতে তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে সদর উপজেলার সিন্দুরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে শিশুটি সহ তানিয়া নামের এক নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। রাতে সন্তান প্রসবের লক্ষ্মণ দেখা দিলে আমরা জানতে পারি সে গর্ভবতী। পরে তাকে দ্রুত মহিলা পুলিশের মাধ্যমে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগে পাঠানো হলে সিজারিয়ানের মাধ্যমে তার কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, নবজাতক চুরির ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তানিয়া নামের এক নারীকে নবজাতকটি সহ আটক করা হয়। আটকের পর জানা যায়, সে নিজেও প্রসূতি। রাতে সন্তান প্রসবের লক্ষ্মণ দিলেন আমরা নারী পুলিশ দিয়ে হাসপাতালে পাঠালে সিজারের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। মা ও সন্তান সুস্থ আছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply